জাতীয় পরিমন্ডলে রায়পুরের গর্বিত সন্তান মোহাম্মদ আলী খোকন ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।


 জাতীয় পরিমন্ডলে রায়পুরের গর্বিত সন্তান মোহাম্মদ আলী খোকন ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

....................................................................

অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান


রায়পুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের গর্বিত সন্তান মোহাম্মদ আলী খোকন। সভ্রান্ত সর্দার পরিবার থেকে বেড়ে উঠা একজন অসাধারন প্রতিভাধর সফল মানুষ। কৈশরে সহপরিবারে বাবার সাথে বিদেশে বড় হলেও পরবর্তিতে মেঘনা বিধৌত পল্লিমানুষের বাতিঘর রচিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে মেট্রিক পাশ করেন। পরবর্তিতে চাঁদপুর সরকারী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে স্বাধীন স্বকীয়তায় ব্যবসায়ীক শিল্প কারখানা গড়ে তোলেন। পরিবারের তিন ভাই মিলে একটি কর্পেরেট আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে যৌথ অপ্রতিরোধ্য  অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলতে সক্ষম হন।


         ছাত্রজীবন থেকেই মোহাম্মাদ আলী খোকন অসাধারন প্রতিভাধর জ্ঞান ও প্রাজ্ঞতার পরিচয় দেন। বন্ধুমহলে,খেলার মাঠে,ক্লাবে,রাজনৈতিক বিশ্লষনে,গল্পের আড্ডায় ঝড় তোলার সম্মোহনী শক্তি অর্জন করেন। সকলে দৃষ্টি সীমার ভিতরে দ্রুত প্রবেশ করার অসাধারন ক্ষমতা তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট। নিঃসংকোচিত বাচনভঙ্গি, অনলবর্ষী বক্তা হিসাবে বাল্যকাল থেকেই সমাদৃত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল বিষয়ে তার অসাধারন জ্ঞানের গভীরতা সকলেকে মুগ্ধ করে তুলতো। কথা বলার আর্ট- অব স্পিস ছিলো অসাধারন। ঘরকুনো বৈশিষ্ট্য তার চরিত্রের মাঝে ছিলো না। হাটে বাজারে, চলার পথে অসংখ্য বন্ধু ও সহপাঠীদের সঙ্গ ছিলো সারাক্ষণ।


        সংগ্রামী জীবনে কিংবা সফল জীবনে, সব সময়ে তাঁর পিতা- মাতার প্রতি ছিলো নজিরবিহীন ভালোবাসা। ভাই-বোন আত্মিয়স্বজনকে নিজের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করতেন। মরহুম বাবা ডাঃ আবদুল হক সাহেব ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। সত্য-সুন্দর এবং সৎ ও ধার্মীক জীবন ছিলো তাঁর জীবনগাথা। মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু ছিলো ডাঃ আবদুল হক সাহেবের রাজনৈতিক দর্শন। এমন আদর্শিক পরিবারই মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেবের রাজনৈতিক,  সামাজীক, ও সংগ্রামী চেতনার  সূতিকাগার। বাবার আদর্শ আর মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ থেকেই মোহাম্মদ আলী খোকন সৎ ও পরাজয় না মানার অনুপ্রেনা অর্জন করেছেন।


      ব্যাক্তি জীবনে সত্যকে সত্য বলার অকুতোভয় সাহসী মানুষদের একজন মোহাম্মদ আলী খোকন। মানুষের পিছনে বসে পিছন থেকে আঘাত করার চরিত্র তাঁর কখনো ছিলো না। সম্ভবত নিজকে প্রকাশ করার মতো অসত্য কৌশল অবলম্বন না করার কারনে তাঁর সাময়ীক শত্রুর সংখ্যা বেশী হলেও বেলাশেষে বন্ধুই বেশী। স্পষ্টভাষী একজন পরিচ্ছন্ন মানুষের সকল গুনাবলী তিনি অর্জন করতে সক্ষম হন। রাজনীতিবিদদের এমন চরিত্র এখন নেই বললেই চলে। সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলার জন্য মানুষের নিজের ভিতর যতটুকু সততা থাকার দরকার খোকন সাহেবের সবটুকু আছে।ছোটবেলা থেকে বরাবরেই তিনি চলায়, বলায়, আচরনে একজন ওভারস্মাট মানুষ।


        রাজনৈতিক জীবনে মানুষের চলার পথে কণ্টকাকীর্ণ পথ জীবনকে গতিরোধ করার ঘটনা স্বভাবিক। রায়পুর-লক্ষীপুর ২ আসনে মোহাম্মদ আলী খোকন ২০০৮ সালে এম পি হওয়ার সকল সম্ভাবনাই ছিলো। ২০০৮ সাল ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালে এম পি তাঁরই হওয়ার কথা। রায়পুরের মানুষের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ইতিহাস অন্যরকম হতো। দলমত ও রাজনীতির সমন্বয়ের জন্য বিরাট জনপদ বা জুরিডিকশান প্রয়োজন থাকে। ব্যাক্তি, গোত্র, গোষ্টিবদ্ধ জনপদ একজন রাজনীতিবিদের ভাগ্যের বিষয়। বিরাট চরাঞ্চলের এই আসনের ৫ টি ইউনিয়নের ( ১.২.৮.৯, ১৭) মানুষের মাঝে সম্ভবত তিনিই প্রথম ব্যাক্তি যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের বে-তাজ বাদশা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর এই জনপ্রিয়তা দল, মত, এবং অঞ্চল হিসাবে সমাদৃত।


        মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেবের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান "ম্যাকসন্স গ্রুপ " আজ প্রতিষ্ঠিত  শিল্পগ্রুপের অন্যতম। মাথা উঁচু করে বাংলাদেশকে দেশ ও বিদেশে সুনাম বহন করে চলছেন। তিনি বর্তমানে বিটিএমই এর প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই এর পরিচালক। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যাবসায়ীক পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃত্ব নাগালের ভিতরেই।Chairman: Gardenia Wears Ltd. Director: FBCCI. President:Bangladesh Textile Mills Association. Chairman :Governing Body Of National Institute Of Textile Engineering &Research. Director :Asia Insurance. Managing Director :MAKSONS GROUP কোন দয়া, অনুকম্পা,আত্মিয়করনের পথ ধরে নয়, তিনি শিখরে উঠেন নিজের পায়ে হেঁটে। অল্প অল্প করেই বহুদূর এগিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। রায়পুরের রাজনীতি তাঁর সাথে সম্পৃক্ত থাকলে দুই ধারাই সফল হতো। রায়পুরের রাজনীতির বিষাক্ত ছোবলে অনেক মানুষ আজ নীলকন্ঠ। অনেক নেতা তার যোগ্যতা হারিয়ে রিক্ত হস্তে বিদায় নিতে হয়েছে। মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেব রায়পুরের রাজনীতির থাবা থেকে নিজকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও অভিশপ্ত নেতৃত্বের আয়ু আরো দীর্ঘায়ুর পথে হাঁটছে।


          অনেক অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েও তিনি নিজ এলাকার হতদরীদ্র মানুষকে সব সময় মনে রাখেন।প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই গরীব মানুষের জন্য অকাতরে অন্ন,বস্র,বাসস্থান, চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেছেন। হাজার হাজার বেকার যুবককে নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। বড় বড় বিশেষজ্ঞ ব্যাতিত সকল কর্মকর্তা নিজ আত্মিয়স্বজন, এলাকার মেধাবীদের দ্বারা পূরন করেছেন। নিজের এলাকার মানুষকে এত বেশী সম্মান করার বিরল দৃষ্টান্ত আর নাই। নিজের একক খরছে চর বংশিতে আন্তর্জাতিক মানের একটি আধুনিক মসজিদ বিনির্মানের কাজ এগিয়ে চলছে। চর রমনী মোহন এলাকায় তাঁর পিতা মরহুম ডাঃ আবদুল হক সাহেব উচ্চবিদ্যালয় একক প্রচেষ্টায় পরিচালিত হয়ে আসছেন। চর বংশিতে ডাঃ আবদুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন।স্থানীয় আপামর জন সাধারনের মসজিদ,মাদ্রাসা,মোকতব,মন্দির, রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালবার্ট নিবির্মানে নিজের শ্রম ও অর্থ বিনিয়োগ করেছেন।


         মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেব রাজনীতির ময়দানে অনেক নেতাকে পূনর্বাসন করেছেন।নিজের জীবনের ঝুকি নিয়েও অন্যকে  বিজয়ী করেছেন। যারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তারা কখনো খোকন সাহেবকে সম্মানের জায়গায় তুলে ধরেন নাই; এবং কৃতজ্ঞতাটুকু স্বীকার করেন নাই।মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেব কখনো কোন নেতা কর্মীর সাথে এবং মানুষের সাথে  কূটকৌশল,চক্রান্ত,প্রতারনা করেন নাই। নিজে ব্যাথা পেয়েছেন কিন্তু কাউকে আঘাত করেন নাই।মনের ক্ষোবে সামনা সামনি কটুকথা বলে হালকা হয়েছেন; কিছুক্ষন পরে হয়তো ভুলে গেছেন। তিনি ব্যাক্তি জীবন পারিবারিক জীবন এবং রাজনৈতিক জীবন একই রকম সহজ-সরল মনোবৃত্তি সম্পুর্ণ একজন মানুষ।


মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেব একজন মানুষ হিসাবে রাজনৈতিক ভাবে চলার পথে ভুলত্রুটির উর্ধ্বে নয়। ব্যাক্তি জীবনে তার কোন শত্রু নাই। আদর্শিক প্রতিপক্ষ তাকে শত্রু মনে করাই স্বাভাবিক। স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নেতা নির্বাচনে কিংবা ভালোমন্ধ লোক বাচাইয়ে তিনি সত্যকে সরাসরি প্রকাশ করেন। স্থানীয় মতবিরোধের প্রতিপক্ষ তাকে শত্রু মনে করে থাকেন। মূলত তিনি কোন প্রকার কূটকৌশল অবলম্ব করেন না,এই বৈশিষ্ট তার চরিত্রের উজ্জল দিক। মতপার্থক্যের বিরোধ থাকা স্বাভাবিক। তার পরেও স্থানীয় কাইজ্জা মার্কা বিরোধ এড়িয়ে চলতে পারলে অনেক ভালো হতো। তাছাড়া অনেকের কিছু শিষ্ঠাচার বির্জিত ঘটনা তিনি অনেক সময় সহৃ করতে পারেন না।


    ব্যাক্তি জীবনে একজন সফল মানুষের অনেক সময় রাজনৈতিক খ্যাতি কিংবা প্রতিপত্তির প্রতি আগ্রহ থাকে না। জীবনের যে কোন এক জায়গায় স্টার হতে পারলেই হলো ; কিন্তু বিশাল জনগোষ্টিকে অন্ধকার ও অনগ্রসর পথ থেকে টেনে উপরে উঠাতে হলে রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন খুব প্রয়োজন। পশ্চিমাঞ্চলের অনগ্রসর মানুুষের জন্য কারিগরি ও টেকনিকেল কলেজ, পলেটেকনিকেল ইনিষ্টিটিউট,উন্নত কলেজ,হাসপাতাল,উপজেলাকে ভাগ করে থানায় রুপান্তর করা, শশ্য (সায়ামিন, আলু) প্রক্রিয়াজাত করন শিল্প তৈরী করা,লঞ্চঘাট, তৈরী করা,নদীর পাড়ে অবলম্বিত শিপইয়ার্ড তৈরী করা সহ বড় বড় মেঘা প্রজেক্ট তৈরী করতে হলে এম পি মন্ত্রী হওয়া আবশ্যক। সেই কারনে মোহাম্মদ আলী খোকন ভাইকে রাজনীতিতে খুব প্রয়োজন। স্থানীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে মেধাবী, সৎ ও জনবান্ধন, দেশ প্রেমিক নেতৃত্ব খুব প্রয়োজন। এই বিশাল ভোট ব্যাংক সম্বলিত অঞ্চলে মোহাম্মদ আলী খোকন ভাইয়ের বিকল্প আর কোন নেতা সহসায় তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা কম। বর্তমান রাজনীতিতে অর্থবিত্তের মানদন্ড অনেক গুরুত্ব বহন করে।


      আমার সাথে মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেবের ছাত্রজীবনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক্য বিদ্যমান ছিলো। রাজনৈতিক স্বীদ্ধান্তের ভিন্নতায় আমাদের পথ আলাদা হলেও আন্তরিকতায় ভিন্নতা ছিলো না। মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেব সম্পর্কে আমার  মূল্যায়নের ও চিন্তার বহিঃপ্রকাশের সাথে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোন লাভ লোকশান নাই। আমাদের অনগ্রসর বিরাট অঞ্চলের মানুষের ভবিষ্যত উন্নয়ন ও রুপকল্পের জন্য একজন নেতা আমাদের তৈরী করা খুবই জরুরী; সেই গুনাবলী সম্বৃদ্ধ একজন মানুষ মোহাম্মদ আলী খোকন। মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেবের মাধ্যমে এই আঞ্চলিক রাজনৈতিক ইমেজকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক ভাবে সবচাইতে বেশী লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। পরবর্তিতে জেলার রাজনীতিকেও ইতিবাচক ভারায় প্রভাবিত করতে সক্ষম হবে। 


২০২২ সালের ৩১ শে মে রায়পুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে  রায়পুরের রাজনীতির বিরোধ স্থায়ী ভাবে নিষ্পত্তি হয়ে যায়। কি কারনে জানি না চারজন নেতার মধ্যে একজন নেতাও আমাকে এবং কাউন্সিলারদেরকে পচন্দ করলেন না। আমার পক্ষে থাকার দরকার পড়েনি শুধু বিপক্ষে না থাকলেও দল সঠিক জায়গায় চলে আসতো। ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হলে এম পি সাহেবের রাজনৈতিক লাভ বেশী হতো। দল নতুন প্রেরণায় এগিয়ে যেতো।


২০০৮ সালেও মোহাম্মদ আলী খোকন দলের বাহিরে ভোট করতে চাইছিলেন না। তিন জন স্থানীয় নেতা তাকে ঠেলে নিয়েছেন,তাদের মধ্য দুইজন বর্তমানে ইতিহাসের শাস্তি ভোগ করছেন বাকী একজন এই পর্যন্তই থেকে চলে যাবেন।


৩১ /৫/২২ তারিখে রায়পুর উপজেলার সম্মেলনে খোকন ভাই গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি হিসাবে আবির্ভূত হন।আমার বিশ্বাস ছিলো খোকন ভাই আদর্শিক ভাবে একটি পরিবারের বিপক্ষে ছিলেন। এবার দেখলাম  সেই বিরোধ আদর্শিক নয় ব্যক্তিগত।সভাপতি/সম্পাদক হিসাবে ১৪ প্রার্থী ছিলো ২০ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলন হিসাবে আশ্চর্যজনক ভাবে ১৩ জন প্রার্থী ভোট চাইলেন না। খোকন ভাই এম পি সাহেবের সাথে একমত হয়ে একজনকে নিয়ে সফল হলেন। সম্মেলনকে পলিউটেড করা হলো। পরিকল্পিত ভাবে গেঞ্জি বাহিনি জড়ো করে জনপ্রিয়তা দেখানো হলো, যদিও জনপ্রিয়তা প্রমানের জন্য অতীতে কেন্দ্র দখল কিংবা প্রার্থী অপহরন ব্যতিত আর কোন নজির ছিলো না। পরে বুঝলাম রাজনীতি এরকমই হয়। বুঝতে পারলাম পুরা সম্মেলনে দলের একমাত্র শত্রু আমি।সবাই মিলেমিশে এক হয়ে অতীতের সকল গ্লানি ভুলে আমাকে মাইনাস করে দলকে শুদ্ধতার দিকে এগিয়ে নিয়েছেন। দলের কোন পরাজয় হয় না সেই কারনে আমারই পরাজয় মেনে নিয়েছি। সমকালীন দলে যোগ্যতা,শিক্ষা,সততা,দক্ষতা,মটিভেশনশনাল ক্ষমতা,দেশপ্রেম,আদর্শ,দীর্ঘমেয়াদী শ্রম কোন কিছুরই মূল্য নাই। দূর্নিতি, অযোগ্যতা,দখলবানিজ্য,অবৈধ অর্থই আজ দলের আদর্শ।


          একটি অঞ্চলে সবসময় সফল মানুষের  জন্ম হয় না। অনেক স্বার্থপর সফল মানুষ নিজের ও পরিবারের স্বার্থে তাদের ইমেজ বিনিয়োগ করে থাকেন। দেশ ও মানুষের জন্য কিছুই করেন না,উপরন্ত লুটপাটের সকল সুযোগ গ্রহন করে থাকেন। মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেব দলীয় ক্ষমতা ভোগ করে কোন অর্থবিত্ত হাতিয়ে নেওয়ার ধান্ধা করেন না। পরিবারের কোন অনৈতিক লোক আত্মিয়-স্বজন দর্পিত দাপটে চষে বেড়াতে দেখা যায় না। অন্যের পকেটের টাকা নিজ পকেটে ঢুকানোর ধান্ধা করার কোন আলামত কখনো দেখা যায় না।  সময়ের দাবী অনুযায়ী মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেব রাজনীতিতে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখা একান্ত প্রয়োজন। রায়পুর আওয়ামীলীগ রাজনীতির বৃহত্তর স্বার্থে মোহাম্মদ আলী খোকনের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশী। মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেবের জায়গায় অনেকে স্থলাভিষিক্ত হয়ে রায়পুরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে অপমান অপদস্থ করেছেন। রায়পুর আলোচিত হয়ে টি ভির হেড লাইন হয়েছে। এই সুযোগে অনেক বিষবাস্প হজম করতে হয়েছে। সকল অপবাদ কাটিয়ে উঠার জন্য মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেবকে যথাযত জায়গায় স্থলাভিষিক্ত করা সময়ের দাবী।

Comments

Popular posts from this blog

চাঁদপুরে জাতীয় দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত।

বৃক্ষরোপণ অভিযান'২৩ উপলক্ষ্যে গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি পালন করেসুরতরী সাহিত্যে সাংস্কৃতিক সংসদ, চট্টগ্রাম।

সোনাকান্দা জলকেল্লা